যে পথের প্রতিটি বালিকণা গায়ে মাখতাম,
কিংবা লকলকে সবুজাভ দূর্বাঘাসের
চিকচিক করা শিশির পায়ে যেতো ল্যাপ্টে,
সবই তো ছিল অতি আপন;
সে পথ আজ অজানা অচেনা,
সেখানে আজ হিংস্র হায়নাদের অভয়ারন্য,
বিষধর সাপগুলো ফনা তুলে বসে আছে
ছোবল দেবার অপেক্ষায়।
চেনা পথই আজ অচেনা,
পরিচিত মানুষগুলোও মানুষের কাতারে নেই!
সবকিছুই হয়ে গিয়েছে বিপদসংকুল ;
এখন এ পথে পা বাড়াতেও ভয় লাগে,
মানুষের সাথে কথা বলতেও বুক কাঁপে!
সংকিত থাকি সর্বদা---
অযাচিত কোন জঞ্জাল কিংবা বিপদের আশঙ্কায়।
অনেক হয়েছে ছলনা আর প্রতারনার খেলা,
অনেক হয়েছে মিথ্যা অভিনয় রঙ মঞ্চে।
এখানে চলে শুভ্র বুকে বিষাক্ত খঞ্জর
আর্তচিৎকার শুনে কেউ আসে না,
রক্তে রঞ্জিত ক্ষত বিক্ষত নিথর দেহ পড়ে থাকে;
কেউ করে না প্রতিবাদ,
প্রতিবাদী কণ্ঠ আজ কারারুদ্ধ,
পর্দার আড়াল রচিত হচ্ছে বিনাশী চিত্রনাট্য।
বিহগলে বাজছে করুন সুর,
ধুঁকে ধুঁকে কাঁদছে বঙ্গ জননী আমার!
খঞ্জরের আঘাতে রাজপথ রক্তে রঞ্জিত,
হোক কোন দুঃখ নেই,আসবো ফিরে বারবার
বঙ্গ জননীর নারিছেড়া সন্তান হারানোর কান্নার প্রতিটি ফুটায়
জন্ম নিতেই থাকবো আমি শত সহস্রবার,
এবং তা' চলতেই থাকবে বিরামহীন,অনন্তকাল।।
কবি ও সংগঠক ইউনুছ আকমাল |