Monday, July 30, 2018

সব তোমারি জন্য ।। কুমকুম খাতুন

যেদিন অচেনা গন্তব্যে নির্জন পথে একা নিশীথে,
পথ চলেছিলাম আমি,
বারবার সে অন্ধকারাচ্ছন্ন পথে বৃক্ষরাজির সাথে
মাথা ঠুকতে ঠুকতে পথ এগুচ্ছিলাম
ঠিক সে সময়-ই তুমি এসে হাত ধরে বললে
চলো কিছুটা পথ এগিয়ে দেই তোমায়।
আর তখনি ঘনানো অন্ধকার কেটে
আলোকময় হলো ধরা..
মন থেকে মুছে গেলো সব সংশয়,
শুধুই তোমাকে কাছে পেয়ে।

জোনাকপোকাদের কানে ফিসফিস করে বললাম-
তোমরা কি পারোনা আমার প্রিয় ও আমার
চলার পথ আলোকিত করতে?
জোনাকপোকারা বলতে লাগলো আরে বন্ধু কুমু!
কোথা থেকে এলে তুমি?
কতদিন তোমায় দেখিনা..
আর কিছু বলে ওঠার আগেই
 জ্বলজ্বল আলোয় জ্বালিয়ে দিলো ধরা।
সবকিছুই তো তোমারি জন্যে।

ক্ষণ পরে চাঁদ ও এসে বলতে লাগলো বন্ধু,
প্রিয়কে নিয়ে এসেছো?
রাতের আঁধারে আলোকিত উন্মুক্ত পৃথিবী
শুধুই তোমার প্রিয়'র জন্যে।
ভাবতে কি কখনও চাঁদও হয়ে যাবে এতোটা আপন?
তুমি এসে হাতে হাত ধরলে-
স্নিগ্ধ শীতল হাওয়া ছুঁয়ে গেলো দু'জনের শরীর।
সব তোমারি জন্য...
শুধুই তোমারি জন্য।
ভোরের পাখিরাও গুঞ্জন শুরু করলো,
আরো মধুর সুরে শুধু তুমি আমার প্রিয় বলে।
সূর্যটা আরো রক্তিম আভায় উদয় হলো।
ভালোবাসার রং তো সব সময় লাল হয় তাইনা?
তাই তো সূর্যটাও আমাদের এ ভালোবাসাকে
সাদরে গ্রহণ করে রাঙ্গালো তার শরীর।
সবটাই তোমারি জন্য,
শুধুই তোমারি জন্য।
খরতপ্ত দুপুর তার তপ্ততা কমিয়ে শীতল করলো পৃথিবীকে।
তুমি আমার প্রিয় বলেই স্রোতস্বিনী নদী
ঝিলমিল বেগে বয়ে চলে।
সন্ধ্যাতারা জ্বলে জ্বলে শুধু তোমার কথাই বলে-
যেন কখনও কোনো কষ্ট না দেই তোমায়।
সব তো তোমারি জন্য, শুধুই তোমারি জন্য।
কবি কুমকুম খাতুন