Wednesday, May 30, 2018
অপরাজিতা ।। জোছনা হক
রাস্তার ল্যাম্প পোস্টটা তখনও জ্বলছে প্রতিদিনের মতো,
আমি তখন আমার ঝুল বারান্দায় হাতে কলম,
কাগজ নিয়ে পায়চারী করে যাচ্ছি অবিরত,
মাথায় আসছেনা,আটকে আছে সব কথাগুলো গলার কাছে।
আবার উঁকি দিয়ে দেখি পোস্ট লাইটের দিকে,
যখন দেখি মনে হয় এই শুনশান শহরের পোস্ট লাইটি আমার শেষ প্রেরণা।
আমার যখন পাশে কোন সঙ্গী, একটি হাত প্রয়োজন,
তখন সময়ের বন্ধুদের ছায়া পর্যন্ত খোঁজে পাইনা।
নীল চাঁদরে, ধোঁয়াটে কুয়াশা ল্যাম্প পোস্টটাকে কতো আদরে ঘিরে রাখছে।
আমার কষ্টের জীবনে,
যন্ত্রনা হয়ে শরীরে অসংখ্য দাগ কাটুক এ মূহুর্তে যতো খুশি, যতো ইচ্ছে।
ওদের টেনে নামাবোনা আজ, কাল সাঁপ হয়ে ধ্বংস করে যাক আমার লাল রক্ত।
পায়ের গোড়াইল থেকে মুখবিবর হয়ে পৌষ্টিক নালীর প্রতিটা পর্যায়ে জ্বালিয়ে,
ছিড়ে-ফুঁড়ে খাক্ করে নীল হয়ে যাক আমার সমস্ত অস্তিত্ব।
যতো শক্তি,জোর আছে হৃদয়ের দুয়ার আঁচড়িয়ে,
ভেঙ্গে ফেলুক, শান্ত হোক তারা, দরকার নেই থামানোর।
অতি প্রাচীন আমি,
নতুন কোন আবেগী ভাবনা আমাকে জাগিয়ে বেশীক্ষণ রাখতে পারেনা,
ততক্ষণে আমার অনুভূতিরা তাদের নিঃশেষ করে ফেলেছে,
আবার অভিনয় ভরা এক সকালে অনেকগুলো মিথ্যার লাশ জমেছে শিশিরের কদমে,
আবার শুনশান রাত ফিরে আসে, সেই পোস্ট লাইট অপরাজিতা,
অপরাজিতা বলে চিৎকার দিতে থাকে আমার ঝুল বারন্দায়।
আমিও ফিরে আসি কাগজ,কলম নিয়ে।
সুরের মূর্ছনা ।। তমা ইয়াসমিন
নিরাবতা ভেঙ্গে শেষ রাতে কলের মুখ নিংড়ে,
ঝড়ে পড়া জলের ফোটা,
টুবটাব একটানা জেদি শব্দ,
ভীষন ভাবে কানে লাগে।
ঘুম যেন হাহাকার সাদা কাগজের,
গায়ে লাল তেলাপোকা,
ক্ষিধে ভরা মন টেনে নেয়,
জাকপাকা সফেদার অ-পরিপক্ক গায়।
কি এক একাকি বিভৎস অচেনা রাত,
চারিদিকে দমফাটা গুমোট নিরবতা শুনশান,
একটু বে-খেয়ালে মাশুল টানবে অনন্ত কাল,
যেনো চোখ দু'টো চেনা সাবক হরিনীর মন।
শজনেডাটা ঢলে পড়ে রাতের অাঁধারে,
ঢেউয়ে ঢেউয়ে হেলেঞ্চা স্হীর বাতাসে,
হেলেদুলে বয়ে চলে নিপূণ হাতের কারূকাজে,
মর্মর অথচ মলায়েম ভেজা সুরে।
জল প্রপাতে বাস্তবজীবনের খেলা,
অঁঠাই জলে ভাসিয়ে কলার ভেলা,
প্রচন্ড চাঁপে বুকের নরম পাঁজরে,
পার ভেঙে আঁচড়ে পড়ে ভীষণ জোড়ে।
ঝড়ে পড়া জলের ফোটা,
টুবটাব একটানা জেদি শব্দ,
ভীষন ভাবে কানে লাগে।
ঘুম যেন হাহাকার সাদা কাগজের,
গায়ে লাল তেলাপোকা,
ক্ষিধে ভরা মন টেনে নেয়,
জাকপাকা সফেদার অ-পরিপক্ক গায়।
কি এক একাকি বিভৎস অচেনা রাত,
চারিদিকে দমফাটা গুমোট নিরবতা শুনশান,
একটু বে-খেয়ালে মাশুল টানবে অনন্ত কাল,
যেনো চোখ দু'টো চেনা সাবক হরিনীর মন।
শজনেডাটা ঢলে পড়ে রাতের অাঁধারে,
ঢেউয়ে ঢেউয়ে হেলেঞ্চা স্হীর বাতাসে,
হেলেদুলে বয়ে চলে নিপূণ হাতের কারূকাজে,
মর্মর অথচ মলায়েম ভেজা সুরে।
জল প্রপাতে বাস্তবজীবনের খেলা,
অঁঠাই জলে ভাসিয়ে কলার ভেলা,
প্রচন্ড চাঁপে বুকের নরম পাঁজরে,
পার ভেঙে আঁচড়ে পড়ে ভীষণ জোড়ে।
কবি ও সংগঠক তমা ইয়াসমিন। |
মুয়াজ্জিন ।। আহসান ইমরোজ খান
এই অবেলায় কে ডেকে যায়
আমার ঘরে
আপন করে চেনা সুরে?
.
কে এঁকে যায় মায়ার বাঁধন
পাগল করে
চুপটি করে পালায় দূরে?
.
কে হেসে যায় ঠোঁটের কোনায়
মুচকি হেসে,
করুণ সুরে বাজায় বাঁশি?
.
কে দিয়ে যায় সুখের পরশ
এই সিয়ামে,
মুক্তি সনদ রাশি রাশি?
.
কে মুছে দেয় বিহান দুপুর
বিকাল বেলা
রবের নামে ক্লান্তি যত?
.
কে বুণে যায় সন্ধ্যা রাতে
আল্লা নামে
রহম ধরায় অবিরত?
.
৩০.০৫.১৮ইং
ভুঞাপুর, টাংগাইল
কবি আহসান ইমরোজ খান |
গীতিনাট্যঃ দু'টি পিস্তল ।। আখতার উজ্জামান সুমন
আবহাওয়াটা উচ্ছ্বাস আর উল্লাসে ভরা। গ্যালারিতে দর্শকশ্রোতা মুহুর্মুহু করতালি আর চিৎকার দিয়ে অভিনন্দন জানাচ্ছে প্রিয় দলকে। প্রিয় খেলোয়াড় একের পর এক গোল দিয়ে যাচ্ছে প্রতিপক্ষের জালে। আজ ফাইনাল। বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসিত ঢেউ! হঠাৎ দৃশ্যপট পালটে গেলো।
চারপাশে অভিমানের ঢেউ। অভিমানী প্রশ্ন তুমি থেকে আপনিতে উঠে এসে জিজ্ঞেস করলো-
- ঘুমাননি এখনো?
বিগলিত উত্তর- না। অনুযোগ করে বলল- তুমিও তো ঘুমাওনি। বলতে বলতেই তার মনে হল, অভিমান কি প্রশ্নের একান্ত? তার প্রশ্নেও অভিমান থাকতে পারে! হ্যাঁ, থাকতেই হবে। তাই তার প্রশ্নও তুমি থেকে আপনিতে উঠে জিজ্ঞেস করলো-
- আপনি ঘুমাননি কেন?
ব্যাকগ্রাউন্ডে অলক্ষ্যে তখন আ............... ধ্বনিত হয়ে রোমাঞ্চ বেজে উঠলো। অলক্ষ্যে পর্দার আড়ালে গাইতে লাগলো-
"অনেক ভালোবাসি তোমাকে প্রিয়তম।
কসম চাও তো, নিতে পারো; খোদা কসম!
অনেক ভালোবাসি তোমাকে প্রিয়তম।
সাগরের বাহুডোরে উদারতা আছে যতো
আমারো প্রেম আছে তোমার তরে ততো।
এই যে অস্থিরতা, তা আর কখনো কমবে না।
আমার এই গান তোমারই ধ্যানজ্ঞান;
তোমাকে ছাড়া আর কোনো বাঁচা নেই আমার।
এভাবেই চাইতে থাকবো তোমায় যতক্ষণ আছে প্রাণ।
অনেক ভালোবাসি তোমাকে প্রিয়তম।
কসম চাও তো, নিতে পারো; খোদা কসম!"
গাওয়া শেষ। আ............... ধ্বনি এখনো চলছে অলক্ষ্যে। ভণিত অভিমান কমেনি এখনো। তবুও বলছে-
- হ্যাঁ, অনেক ভালোবাসি তোমাকে প্রিয়তম। কী করছেন?
দৃশ্যপটে চারদিক থেকে চোখ ধাঁধানো রক্তাক্ত হৃদয়গুলো উড়তে লাগলো। মুহূর্তের মধ্যে পেছনে হাজারো নক্ষত্র জ্বলে উঠেছে; কানে ঝনঝনানি দিয়ে ব্যাকগ্রাউন্ডে গাইতে শুরু হল-
"বকুলের মালা শুকাবে
রেখে দেব তার সুরভী
দিন গিয়ে রাতে লুকাবে
মুছো নাকো আমারই ছবি
আমি মিনতি করে গেলাম।
ভালোবেসে আমি বার বার
তোমারি ওমনে হারাবো
এই জীবনে আমি যে তোমার
মরণেও তোমারই হব।
তুমি ভুলো না আমারও নাম।
এই মন তোমাকে দিলাম
এই প্রেম তোমাকে দিলাম।
তুমি চোখের আড়াল হও
কাছে কিবা দূরে রও
মনে রেখো আমিও ছিলাম।"
এবার শাণিত ও ভণিত দু'টো অভিমানেরই অন্তর্ধান ঘটলো। বলল-
- ভালোবাসি।
- আলিঙ্গন করো।
- সেই কখন থেকেই করে আছি। টের পাওনি বোধ হয়।
আলতো করে ভিড়ানো দরজার আড়াল দিয়ে বাহির থেকে রক্তাক্ত হৃদয়গুলো ভিতরে প্রবেশ করতে লাগলো।
- সারাক্ষণ তোমার আলোকচিত্র দেখছিলাম।
- ভালোবাসি তোমায়।
- ভালোবাসি আমিও।
উভয়ে প্রেমালিঙ্গনে। চারপাশ থেকে রক্তাক্ত হৃদয়গুলো ফানুশের মতো বাতাসে উড়ে যাচ্ছে উপরের দিকে।
- ঘুমাবে না? এবার ঘুমাও।
- ঘুম আসে না।
ব্যাকগ্রাউন্ডে পিয়ানোর টুংটাং শব্দের সাথে গাওয়া শুরু হল-
"প্রাণের চেয়েও প্রিয় আমার হৃদয়
তাকে ছাড়া এক মুহূর্তও বাঁচা মুশকিল।
ওহ! ওহ! এ যে কী ব্যথা! ব্যথাটাও অনেক ব্যথানাশক। কখনো আমাকে হাসায়, কখনো কাঁদায়।
কেউ যাও, খুঁজে দাও;
কোথায় যেন আমার হৃদয় হারিয়ে গেল।
আমার ঘুম আসে না, আমার স্বস্তি আসে না;
কোথায় যেন আমার হৃদয় হারিয়ে গেল।"
এবার শাণিতের কিছুটা ভণিত অভিমান। বলল-
- তুমি ঘুমাতে পারো।
টুংটাং পিয়ানোর সাথে আবারো গাইতে শুরু হল-
"আমার ঘুম আসে না একেলা। তবে স্বপ্নে আসাযাওয়া করতে থাকো।
চলতে পারবো না তোমাকে ছাড়া আমি
তুমি আমার ভরসা হয়ে যাও
তোমাকে চাওয়া ব্যতীত আর কিছুই হবে না আমার দ্বারা
বলে দাওনা কী আছে তোমার হৃদয়ে
আমি কাউকেই বলবো না।"
টুংটাং করে পিয়ানোটা আরো কিছুক্ষণ বেজে চলল। বলল-
- হৃদয় কোথাও হারিয়ে যায়নি। খুঁজে দেখো, হৃদয়ের ভিতরেই হৃদয় আছে। কিছুই তো অবিদিত নেই, যা বলার সবই তো বলে দিয়েছি।
চারপাশে আবারো রক্তাক্ত হৃদয়, ফানুশের মতো উড়ে যাচ্ছে। ভায়োলিন বেজে উঠলো। এ এক করুণ সুর! এই সুর দৃশ্যপটে মহামারী ডেকে নিয়ে আসলো। চারপাশে হৃদয়-ফানুশগুলো আরো বেড়ে গেল। হঠাৎ একটা আবেগ এসে চারপাশটা নীলচে করে দিল।
- আজ তোমার কী হয়েছে প্রাণনাথ? এতো দুর্বলতা প্রকাশ করছো! প্রতিটা রাত আমি আবেগপ্রবণ হয়ে কতো কী কল্পনা করে, প্রত্যাশা করে দুর্বল হয়ে পড়ি। কতো কী জপতে জপতে রাতগুলো পার করি! আজ তুমিও.............
কথাটা শেষ হলো না, কথাটা মুখে থাকতেই ব্যাকগ্রান্ডে অলক্ষ্যে গীটারের মোটা তার বাজতে লাগলো, আর গাইতে শুরু হলো-
"কী করে যে বলি
তোমাকে ছাড়া এ জীবন যে কেমন হবে!
মনে হয় যেন কোনো শাস্তি, কোনো অভিশাপ হবে।
করেছি এই প্রতিজ্ঞা,
এ বাঁচা নয় তোমাকে ছাড়া।
বাঁচবো, হ্যাঁ বাঁচবো; তো তোমাকে ছাড়া কীভাবে?"
- আমাকে ছাড়া বাঁচার দরকার নেই। আমাকে নিয়েই বাঁচো। আমিও............
- বাঁচবো না, মরবো।
চারপাশ বেদনাহত। গাঢ় নীলাভ ধুয়া হয়ে ছেয়ে গেল। ভায়োলিন বাজছিল করুণ কান্নার সুরে। আচমকা চারপাশে হাজারো প্রদীপ জ্বলে গেলো। দু'জন দু'জনার খুঁট থেকে মরণাস্ত্র বের করলো। তাক করলো একে অপরের নাভিদেশের নিচে বামপাশে। তারা প্রস্তুত, গভীর আলিঙ্গনে তারা। একের পর এক দু'টি শব্দ হল আকাশ ফাটিয়ে। তারপর ভূতল ভেদ করে, মুহুর্মুহু শব্দ করে, আকাশে বাতাসে উঠতে থাকলো ধূমকেতু। একেকটি বিস্ফোটের শব্দাংশ বাকি থাকতেই আরেকটি বিস্ফোট, তারপর আরেকটি, তারপর আরেকটি। এভাবে চলতে থাকলো। ধূমকেতুগুলো মিলিয়ে যেতে থাকলো নিঃসীম আকাশে।
রক্তাক্ত ভূমিতল,
রক্তের উপর ভাসছে দু'টি অসাড় দেহ,
ভাসছে দু'টি মরণাস্ত্র,
দু'টি পিস্তল।
গ্যালারির দর্শকশ্রোতা মুখ হাত চেপে বসে আছে। প্রিয় দলকে একটার পর একটা গোল হজম করতে দেখছে। আর, বাঁধভাঙা অশ্রুর নীরব বিসর্জন করছে। খেলা শেষ। গ্যালারিভর্তি দর্শকশ্রোতা এভাবে আমৃত্যু দেখে দু'টি পিস্তলের আজব খেলা।
কবি ও সংগঠক আখতার উজ্জামান সুমন |
প্রকৃতি ও মানুষ ।। আবুল বাশার রাসেল
মানুষগুলো কেমন পাল্টে গেছে
মনুষ্যত্ব হারিয়ে, বিবেকে বিকিয়ে, লাজ-লজ্জা জলাঞ্জলি দিয়ে
হয়েছে ফেরারি!
ভাই ভাইকে করছে হত্যা, বোন বোনকে করছে বঞ্চিত।
যে পিতা প্রথম ঝলকে সন্তানের মুখ দেখে হয়েছিলো ভীষণ অশ্রুসিক্ত
সে কিভাবে হচ্ছে খুনী? কিভাবেই বা হয়ে উঠছে ধর্ষক?
যে জননী সন্তানের জন্য হাহাকার করে পেল সাত রাজার ধন
সেই সন্তান কিভাবে করে জননীকে অপমান, হত্যা ?
আবার জননীও কখনও কখনও কিভাবে হচ্ছে সন্তানের হন্তারক।
এ কেমন অভিশপ্ত সময়ে আমাদের বেঁচে থাকা, কথা বলা?
জানি, এই অভিশপ্ত সময়কে প্রকৃতি ধারণ করতে করতে আজ বড়ই ক্লান্ত
তাইতো ক্ষুব্ধ প্রকৃতি প্রতিশোধ নিতে বিদ্যুতের আঘাতে,
ঘুর্ণির ছোবলে ধরণীকে করছে জর্জরিত
কিছু মানুষের ভুলের কারণে হাজার হাজার নিরীহ মানুষ ভুগছে যন্ত্রণায়
হে প্রভূ, তুমিই পারো রুষ্ট প্রকৃতি ও বিপথগামী মানুষকে ফিরাতে আপন ঠিকানায়
তুমিই পারো এ ধরাকে করতে তোমার।।
২৮-০৫-২০১৮ খ্রিস্টাব্দ
দেওরগাছ, চুনারুঘাট, হবিগঞ্জ।
মনুষ্যত্ব হারিয়ে, বিবেকে বিকিয়ে, লাজ-লজ্জা জলাঞ্জলি দিয়ে
হয়েছে ফেরারি!
ভাই ভাইকে করছে হত্যা, বোন বোনকে করছে বঞ্চিত।
যে পিতা প্রথম ঝলকে সন্তানের মুখ দেখে হয়েছিলো ভীষণ অশ্রুসিক্ত
সে কিভাবে হচ্ছে খুনী? কিভাবেই বা হয়ে উঠছে ধর্ষক?
যে জননী সন্তানের জন্য হাহাকার করে পেল সাত রাজার ধন
সেই সন্তান কিভাবে করে জননীকে অপমান, হত্যা ?
আবার জননীও কখনও কখনও কিভাবে হচ্ছে সন্তানের হন্তারক।
এ কেমন অভিশপ্ত সময়ে আমাদের বেঁচে থাকা, কথা বলা?
জানি, এই অভিশপ্ত সময়কে প্রকৃতি ধারণ করতে করতে আজ বড়ই ক্লান্ত
তাইতো ক্ষুব্ধ প্রকৃতি প্রতিশোধ নিতে বিদ্যুতের আঘাতে,
ঘুর্ণির ছোবলে ধরণীকে করছে জর্জরিত
কিছু মানুষের ভুলের কারণে হাজার হাজার নিরীহ মানুষ ভুগছে যন্ত্রণায়
হে প্রভূ, তুমিই পারো রুষ্ট প্রকৃতি ও বিপথগামী মানুষকে ফিরাতে আপন ঠিকানায়
তুমিই পারো এ ধরাকে করতে তোমার।।
২৮-০৫-২০১৮ খ্রিস্টাব্দ
দেওরগাছ, চুনারুঘাট, হবিগঞ্জ।
প্রবাসী কবি ও সংগঠক আবুল বাশার রাসেল। |
চোখের বালি ।। ইউনুছ আকমাল
বালির কি দোষ বলো!
চোখ আছে বলে সে তো চোখে পড়বেই,
ভালবাসার কি দোষ বলো!
মন আছে বলে সে তো মনে ঢুকবেই।
আমার চোখে তোমাকে দেখেছিলাম,
মনের মাঝে দিয়েছিলাম ঠাঁই ভালবাসায়;
পাই নি তোমায়, পাই নি তোমার ভালবাসা।
ভুল বুঝে সরে গিয়েছ,
চলে গিয়েছ অনেক দূর,
হয়ে গিয়েছ দূরের যাত্রী।
তোমার ভালবাসার পরশে
একদিন হয়েছিলাম সিক্ত,
ছিলাম দু'জন কত না আপন,
যেন ঝিলে ভাসা যোগল রাজহংস।
আজ যা হয়ে আছে স্মৃতিময় কাব্য।
আমি আজ তোমার কাছে অচেনা কোন মানুষ।
তোমার ঐ মায়াবী দু'টি চোখের পানে
তাকালে মনে হত-
আমার সমস্ত সুখ যেন বাস করে ওখানে।
কিন্তু আজ আমি হয়ে গিয়েছি,
তোমার চোখের চক্ষুশূল।
সুখে থেকো,সুখি হও আমায় ভুলে,
ভুলতে গেলেও ভুলতে দেব না তোমায়,
থাকব তোমার পটল ছেড়া চোখের কোণে,
সে না হয় তোমার চোখের বালি হয়েই।
চোখ আছে বলে সে তো চোখে পড়বেই,
ভালবাসার কি দোষ বলো!
মন আছে বলে সে তো মনে ঢুকবেই।
আমার চোখে তোমাকে দেখেছিলাম,
মনের মাঝে দিয়েছিলাম ঠাঁই ভালবাসায়;
পাই নি তোমায়, পাই নি তোমার ভালবাসা।
ভুল বুঝে সরে গিয়েছ,
চলে গিয়েছ অনেক দূর,
হয়ে গিয়েছ দূরের যাত্রী।
তোমার ভালবাসার পরশে
একদিন হয়েছিলাম সিক্ত,
ছিলাম দু'জন কত না আপন,
যেন ঝিলে ভাসা যোগল রাজহংস।
আজ যা হয়ে আছে স্মৃতিময় কাব্য।
আমি আজ তোমার কাছে অচেনা কোন মানুষ।
তোমার ঐ মায়াবী দু'টি চোখের পানে
তাকালে মনে হত-
আমার সমস্ত সুখ যেন বাস করে ওখানে।
কিন্তু আজ আমি হয়ে গিয়েছি,
তোমার চোখের চক্ষুশূল।
সুখে থেকো,সুখি হও আমায় ভুলে,
ভুলতে গেলেও ভুলতে দেব না তোমায়,
থাকব তোমার পটল ছেড়া চোখের কোণে,
সে না হয় তোমার চোখের বালি হয়েই।
কবি ও সংগঠক ইউনুছ আকমাল |
তোমার নাম ।। জাহাঙ্গীর হোসেন
জোৎস্না রাতের চলার সাথী
তোমার নাম ছায়া,
উদাসীন মনে বসে থাকি যবে
তোমার নাম মায়া।
বসন্ত বাতাসে মুহু মুহু সুবাসে
তোমার নাম ফুল,
তোমার প্রতীক্ষায় ব্যর্থ হৃদয় দেয়
তোমার নাম ভুল।
আকাশের পানে চেয়ে থাকি যবে
তোমার নাম তারা,
তোমার দর্শনে ব্যর্থ চোখের কোনায়
তুমি শ্রাবনের ধারা।
গ্রীষ্মের শুরুতে দক্ষিনা বাতাসে
তুমি ঝিঁঝিঁ পোকার গান,
গ্রীষ্মের শেষে যবে হারাই তোমায়
তুমি আলেয়া নিষ্প্রাণ।
সাগরের তীরে বসে থাকি যবে
তোমার নাম প্লাবন,
অবশেষে তোমায় মেলেনা যবে
তুমি শুধুই দুচোখের শ্রাবণ।
তোমার নাম ছায়া,
উদাসীন মনে বসে থাকি যবে
তোমার নাম মায়া।
বসন্ত বাতাসে মুহু মুহু সুবাসে
তোমার নাম ফুল,
তোমার প্রতীক্ষায় ব্যর্থ হৃদয় দেয়
তোমার নাম ভুল।
আকাশের পানে চেয়ে থাকি যবে
তোমার নাম তারা,
তোমার দর্শনে ব্যর্থ চোখের কোনায়
তুমি শ্রাবনের ধারা।
গ্রীষ্মের শুরুতে দক্ষিনা বাতাসে
তুমি ঝিঁঝিঁ পোকার গান,
গ্রীষ্মের শেষে যবে হারাই তোমায়
তুমি আলেয়া নিষ্প্রাণ।
সাগরের তীরে বসে থাকি যবে
তোমার নাম প্লাবন,
অবশেষে তোমায় মেলেনা যবে
তুমি শুধুই দুচোখের শ্রাবণ।
প্রবাসী কবি ও সংগঠক জাহাঙ্গীর হোসেন |
Subscribe to:
Posts (Atom)