চাই না একদিনের গায়ে মাখানো দেশপ্রেম,
স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত একটি সন্ধ্যার ত্যাগ,
গালে, বুকে, পেটে আঁকানো সাময়িক পেঁজা তুলোর উৎসর্গ।
আত্নায় করি লালন ধারকরা সংস্কৃতি,
পারি না বলতে শুদ্ধভাবে একটি বাক্য নিজ মাতৃভাষায়,
বাংলা বর্ণকে করেছি অন্যবর্ণে বিলীন,
পরনে নেই কোন বাঙালিয়ানার পরিচ্ছদ,
চুল, দাড়ির ঢং বিলেতি,
খাদ্য-পানীয়তে তো ছোঁয়াও নেই দেশজের।
একদিনে সারাবিশ্বকে জানিয়ে দিব আমার কতটা দেশপ্রেম,
এ রকম কি জানিয়েছিল রফিক, বরকতেরা?
এ রকম কি করেছিল মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর, মোস্তফা কামালেরা,
কিংবা ভাষার স্বীকৃতির সেই সংগঠক রফিক ও আব্দুস সালামেরা।
রক্তের অনু কনিকায়,
ধমনীতে, শ্বাস-প্রশ্বাসে, প্রক্ষোভে, লিখনিতে, চিন্তাতে,
এভাবে করে ধারন ও লালন তারা এঁটে দিয়েছিল কুলুপ ওই বেনিয়া ও জোচ্চোরদের মুখে।
দিতে প্রাণ জাতীর তরে,
করতে বলিদান নিজের সখ-আহ্লাদকে,
করেনি তো একটুও চিন্তা।
নজরুল, ক্ষুদিরামেরা লড়েছে স্বাধীকারের জন্য,
আর আমরা লড়ি কার বিরুদ্ধে?
স্লোগান দেই কার বিরুদ্ধে?
দেশমাতা তুমি কি আজ সার্বভৌমত্ব পেয়েছ?
নাকি এখনো তোমার বক্ষে বিচরণ নব্য বর্গীদের?
তবে কেন আজ গায়ে মাখি লাল-সবুজের রং,
মুখপুস্তিকায় কেন ধরি দেশপ্রেমিকের ঢং?
ছুড়ে মারো তোমার ঐ ভণ্ডামী,
মুছে ফেল তোমার ঐ নোংরামী,
আসো আবার ধরি নজরুলের কলম,
ক্ষুদিরামের বোমা,
তাড়াই ঐ নব্য বর্গী
হই খাঁটি দেশপ্রেমিক।
মীম মিজান (কবি, প্রাবন্ধিক ও সংগঠক) |
No comments:
Post a Comment